স্পোর্টস ডেস্কঃ কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনসের মাঠে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির এক বাঁচা-মরার লড়াইতে শুক্রবার বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড যে দলটির সাথে তারা অতি সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি ক্রিকেটে খেলেছে ।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় একটি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল নিউজিল্যান্ড। ডাবলিনে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ সহজে পাঁচ উইকেটে হারিয়েছিলো নিউজিল্যান্ডকে ।
বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলছেন, “বাংলাদেশের জন্য শুক্রবারের ম্যাচে স্বস্তির বিষয় হলো নিউজিল্যান্ড তাদের সবচেয়ে চেনা দল। গত তিন মাসে তারা সবচেয়ে বেশি ক্রিকেটে খেলেছে নিউজিল্যান্ডের সাথে।”
চেনা দল, মুখোমুখি সর্বশেষ লড়াইতে বিজয় – এগুলো বাংলাদেশের জন্য নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। কিন্তু তাতে কি বলা যায় শুক্রবার সোফিয়া গার্ডেনসে বাংলাদেশ ফেভারিট ?
কেউ হয়তো জোর গলায় তা বলবেন না। কারণ, ডাবলিনের শেষম্যাচে জিতেছিলে বাংলাদেশ কিন্তু সেই দলে মার্টিন গাপটিল, কেন উইলিয়ামস, টিম সাউদি বা ট্রেন্ট বোল্ট ছিলেন না। এরা চারজনই দুর্ধর্ষ ম্যাচ উইনার।
এছাড়া, ডাবলিনের সেই ম্যাচের আগে পর পর চারটি একদিনের ম্যাচে নিউজিল্যান্ড সহজে হারিয়েছে বাংলাদেশকে।
কলকাতার ক্রিকেট লেখক গৌতম ভট্টাচার্য অবশ্য মনে করেন শুক্রবার বাংলাদেশ জিতলে বিন্দুমাত্র অবাক হওয়ার কারণ থাকবে না। “বাংলাদেশ এখন বিশ্ব ক্রিকেটের নতুন এক্স ফ্যাক্টর।”
তবে টুর্নামেন্টের প্রথম দুটো ম্যাচে দলের পারফরমেন্স নিয়ে খুব বেশি উল্লসিত হওয়ার কারণ নেই বাংলাদেশ শিবিরে।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনশ’র বেশি রান করলেও, সেই ইনিংস দাঁড়িয়ে ছিলো তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রহিমের ওপর। দ্বিতীয় ম্যাচে মেঘলা আকাশ আর ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার সুইং বোলারদের একমাত্র তামিম ছাড়া কেউ সামলাতে পারেননি।
বাংলাদেশের বোলাররাও যেন ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারছেন না ইংলিশ পিচ, মেঘ এবং ঠাণ্ডা বাতাসকে।
তবে আমিনুল ইসলাম বুলবুল মনে করেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের পারফরমেন্স দিনে দিনে ভালো হচ্ছে। প্রতিভার কমতি নেই। শুধু ম্যাচের দিন মাঠে অ্যাপলিকেশন অর্থাৎ প্রয়োগটা ভালো হতে হবে।
কার্ডিফের মাঠ বাংলাদেশকে তাদের ক্রিকেটের ইতিহাসের অন্যতম একটি গৌরবময় দিন উপহার দিয়েছে । ২০০৫ সালে সোফিয়া গার্ডেনসে ন্যাটওয়েস্ট সিরিজের এক ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিলো বাংলাদেশ।
সন্দেহ নেই নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্স বোল্ট এবং টিম সাউদি ইংলিশ কন্ডিশনের জন্য আদর্শ সিম বোলার।
কিন্তু ২০০৫ সালের ১৮ই জুনের ম্যাচে বোলিং লেজেন্ড গ্লেন ম্যাকগ্রাকে যেভাবে দুহাত খুলে পিটিয়েছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল সেই অপমানের কথা অস্ট্রেলিয়া হয়তো কোনদিনই ভুলবে না।
১২ বছর পর সেই জুন মাসেরই একটি দিনে তামিম, সৌম্য, সাব্বির বা মুশফিকের কোনো একজন যদি আশরাফুলে র ভূমিকায় নেমে বোল্ট এবং সাউদিকে টার্গেট করতে পারেন, বাংলাদেশের জন্য জয় পাওয়া অবিশ্বাস্য কিছু হবে না ।